তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, অংশীজন ও রাজনৈতিক দলগুলোর কেউ নির্বাচনে ফাউল খেলার জন্য মাঠে নামবে না। আগামী ফেব্রুয়ারির রোজার আগেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন। আমরা আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো ইসিকে সহযোগিতা করবে।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি জানান, ভোটের অন্তত দুই মাস আগে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইতিমধ্যেই নির্বাচন আয়োজনে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সব খেলোয়াড় যদি ফাউল করার জন্য মাঠে নামে, তাহলে ম্যাচ পণ্ড হয়ে যাবে। আমরা চাই সবাই ভালো নিয়তে মাঠে নামুক। বিদ্যমান সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’অতীতের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘১৯৯১ সালের নির্বাচনে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, পরে শান্ত হয়েছে। ১৯৯৬ সালের ভোটের আগেও সংকট হয়েছিল, পরে সমাধান হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। এবারও আমি আশাবাদী, রাজনৈতিক সমঝোতা হবে এবং জাতীয় স্বার্থে সবাই এক জায়গায় আসবেন।’ শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে সিইসি সাফ জানিয়ে দেন, ‘শাপলা প্রতীক প্রথমে নাগরিক ঐক্য চেয়েছিল, তাদের দেওয়া হয়নি। পরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করলেও তা মঞ্জুর করা হয়নি। কেন প্রতীক দেওয়া হয়নি- এর ব্যাখ্যা কমিশন দেবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতীক নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়ন ইসির এখতিয়ার নয়।’ সিইসি নাসির উদ্দিন জানান, নির্বাচনকালীন মাঠে সেনা মোতায়েন করা হবে। সরকার এক লাখ সেনা সদস্য মোতায়েনের আশ্বাস দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। তিনি রাজনীতিবিদদের প্রতি আস্থা রেখে বলেন, ‘আমাকে কেউ বলেনি যে নির্বাচনে ফাউল করার জন্য নামবেন। বরং সবাই অংশ নিতে চান সুন্দরভাবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় রয়েছে। কমিশনও সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ |

No comments:
Post a Comment