সমমনা আটটি ইসলামী দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটি ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। তবে জোট ধরে রাখতে ও ইসলামী শক্তিকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে উল্লেখযোগ্য ত্যাগ স্বীকারের প্রস্তুতি জানিয়েছে দলটি। প্রয়োজন হলে ৮০ থেকে ৯০টি আসন পর্যন্ত ছেড়ে দিতে পারে জামায়াত।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সক্ষমতা তাদের আছে এবং সেই অনুযায়ী প্রাথমিক তালিকাও করা হয়েছে। তবে সমঝোতার স্বার্থে দলটি এবার সর্বোচ্চ নমনীয়তা দেখাচ্ছে। তার ভাষায়, “ইসলামী দলগুলোর ঐক্যের জন্য আমরা ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত। প্রাথমিক তালিকা থেকে কিছু প্রার্থী বাদ পড়তে পারে, এটা খুবই স্বাভাবিক।”
ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের মতে, দেশের কওমি মাদরাসার অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কওমি ধারার রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে যেসব এলাকায় বিখ্যাত কওমি মাদরাসা রয়েছে, সেসব এলাকায় এই দলগুলোর জনপ্রিয়তা দৃশ্যমানভাবে বেশি।
উদাহরণ হিসেবে তারা উল্লেখ করেন, মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়ার আশপাশে মাওলানা মামুনুল হকের শক্ত জনসমর্থন, এবং যাত্রাবাড়ীতে একাধিক কওমি মাদরাসা থাকায় সেখানেও কওমিভিত্তিক দলের প্রভাব। একইভাবে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বরিশালের চরমোনাই, ঝালকাঠির এনএস কামিল ও ছারছিনা মাদরাসা এলাকার রাজনৈতিক মাঠও কওমি ঘরানার দলগুলোর জন্য সুবিধাজনক।
এমন অবস্থায় এসব এলাকায় জামায়াতে ইসলামী তাদের কিছু প্রার্থী প্রত্যাহার করতে পারে এবং সেখানে চরমোনাই ঘরানা বা খেলাফত মজলিসকে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ মিলতে পারে।
জামায়াতসহ বর্তমানে আটটি দল সমঝোতার আলোচনায় থাকলেও জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতে, আরও দুটি দল এই চক্রে যুক্ত হতে পারে। ফলে চূড়ান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে জামায়াত কিছুটা চাপের মুখে পড়তে পারে।
জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর এক দায়িত্বশীল জানান, এনসিপিসহ কয়েকটি দল জোটে আসতে আগ্রহ দেখালেও এনসিপির অভ্যন্তরীণ বিভক্তির কারণে তারা সিদ্ধান্তে অস্থিরতা দেখাচ্ছে। এ কারণে জামায়াতের সঙ্গে তাদের একীভূত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আপনার নির্দেশ অনুযায়ী নিউজে কোনো প্রতীকটি ব্যবহার করা হয়নি এবং কোনো পত্রিকার নকল ছাড়াই সম্পূর্ণ মৌলিকভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment