চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেছেন এক গৃহবধূ। সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন এনি আক্তার (৩০) নামের এই নারী।
নগরের পিপলস হসপিটালে জন্ম নেওয়া পাঁচ নবজাতকের মধ্যে দুটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে। পাঁচটি শিশুই এখন সুস্থ আছে। তবে সাবধানতার জন্য নবজাতকদের পার্কভিউ হসপিটালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) রাখা হয়েছে।
জানা যায়, ১০ বছর আগে এনি আক্তার ও সুমনের বিয়ে হয়। কিন্তু তাদের বাচ্চা হচ্ছিল না। পরে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমির পরামর্শ নেন। তিনি তাদের ইন্ট্রা-ইউটেরাইন ইনসেমিনেশনের (আইইউআই) পরামর্শ দেন। আইইউআই করে প্রথম মাসেই সফল হন এই দম্পতি।
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফরিদা ইয়াসমিন সুমি বলেন, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম হয়েছে। সেগুলো প্রিম্যাচ্যুর বেশি। আমরা আগে যতগুলো পরীক্ষা করেছি সবসময় চারটি বাচ্চা পাই। অস্ত্রোপচার শেষ করে চারটি বাচ্চা বের হওয়ার পর যখন শেষ করছিলাম, আশ্চর্যজনকভাবে দেখতে পাই আরও একটি বাচ্চা রয়েছে। এর মধ্যে একটা বাচ্চার ওজন ১৬০০ গ্রাম, একটি ১৫০০, আরেকটি ১৪০০ গ্রাম এবং বাকি দুটি ১ কেজি।
এর আগে, সোমবার বিকাল ৪টায় পিপলস হাসপাতালে ভর্তি হন এনি আক্তার। এর আধা ঘণ্টা পর একে একে পাঁচ সন্তান প্রসব করেন। সোমবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ওই নারী পিপলস হসপিটালের লেবার কক্ষে ছিলেন। সেখান থেকে কেবিনে পাঠানো হবে।
জানা যায়, বিকেলে এনি ব্যথা নিয়ে ভর্তি হন। এরপর লেবার কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সুমি ম্যাডামের তত্ত্বাবধানে পাঁচটি বাচ্চার জন্ম হয়।
এনি আক্তারের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। তার স্বামীর নাম ওয়াহিদুল ইসলাম সুমন। তিনি ব্যবসায়ী। পার্কভিউ হাসপাতালে এনির শাশুড়ি নুর নাহার ও তার ছেলে ফরিদুল আলম রয়েছেন। সুমন রয়েছেন স্ত্রীর সাথে পিপলস হসপিটালে।
No comments:
Post a Comment